Boro Maa ,Naihati, New Mandir | 100th Anniversary Celebration | Details informations-2023

 

Boro Maa Naihati : নৈহাটির বড় মায়ের মন্দিরের একশো বছর পূর্তিতে ৪ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সকল তথ্য


কালীপুজোয় উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) প্রধান আকর্ষণ নৈহাটির (Naihati) বড়মা  (Boro Maa)। জেলার পাশাপাশি দেশ, এমনকি বিদেশ থেকেও ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন মনস্কামনা পূরণের জন্য।




Photo credit: News18 বাংলা

Boro maa, Naihati



নৈহাটির বড়ো মা বিখ্যাত কেনো? (Why is Naihati Boro Maa famous?)


কালীপুজোর সময় নৈহাটি স্টেশন (Naihati Station) থেকে অরবিন্দ রোড ধরে গঙ্গার জেটি ঘাটের দিকে যাওয়ার সময় ডান দিকে  চোখে পড়বে এই কালী প্রতিমা।  নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। তিনি এখানে দক্ষিণাকালী রূপে পূজিতা৷

কোজাগরী পূর্ণিমায় এই বড়মা (Boro Maa) কালীর কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দেবীর মূর্তি গড়ার কাজ। ভক্তদের বিশ্বাস, নৈহাটির বড়মা খুবই জাগ্রত। তাঁর কাছে কোনও কিছু চাইলেই তিনি ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। আর তাই তাঁর আশীর্বাদ পেয়ে, ভক্তরা নিজেদের সাধ্যমতো দান করেন। ইচ্ছেপূরণ হলে অনেক ভক্তরাই বড়মাকে অলঙ্কার গড়িয়ে দেন। এভাবেই আজ কয়েক কেজি গয়নার অধিকারী হয়ে উঠেছেন বড়মা। মায়ের এই গয়না দেখতেও ভিড় জমে নৈহাটিতে।পুজোর দিন প্রায় কয়েক হাজার ভক্ত দণ্ডী কাটেন৷

What is the height of Boroma in feet?

নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট।

পথ নির্দেশ (Naihati Boro Maa Mandir location) : 

শিয়ালদা লাইন দিয়ে আসতে হলে , নৈহাটি জাংশন
 (Naihati Junction) এ নেমে অরবিন্দ রোড ধরে গেলে ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন boro maa র Mondir এ।
হাওড়া ( Howrah) লাইন দিয়ে আসতে হলে , চুঁচুড়া ঘাটে পৌঁছে গঙ্গা পেরিয়ে নৈহাটি লঞ্চ ঘাটে এসে চার থেকে পাঁচ মিনিটের রাস্তা। ডান দিকে পড়বে বড়ো মার মন্দির। আবার ব্যান্ডেল থেকে নৈহাটি হয়েও আসা যাবে ।


বড়ো মার মন্দিরের ইতিহাস(Naihati boro maa history in Bengali):
(What is the story of Naihati Boro Maa?)


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা মোড়ে আগে রক্ষাকালী পুজো হত। পুজো শেষে গভীর রাতেই বিসর্জন দেওয়া হত। পরবর্তীকালে সেই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। পরে নদিয়া জুটমিলের কর্মী ভবেশ চক্রবর্তী এই কালী পুজোর প্রচলন করেন।   ভবেশ চক্রবর্তী নদিয়ার শান্তিপুরে রাস উৎসবে যান। সেখানে বিশাল কালীমূর্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। এরপর অরবিন্দ রোডে মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় পুজো। তারই একশো বছরের উদযাপনের আয়োজন মহাসমারোহে। 

 কালীপুজোর সময় বড়ো মাকে নিবেদিত ভোগ :

পুজোর রাতে বড়মার ভোগে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, তরকারি, লুচি, চাটনি ও পায়েস। বিসর্জনের আগের দিন রাতে দেবীকে লাড্ডু ভোগ দেওয়ার প্রথা রয়েছে।  কালীপুজোর সময় ৫ হাজার কিলোরও বেশি ভোগ রান্না হয়। কালীপুজোর দিন থেকে পর পর চার দিন দেবীর বিশেষ পুজো হয়। প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা ভোগ নিবেদন করা হয়।

বড়ো মার নিরঞ্জনের অভিনব পদ্ধতি  :


 নৈহাটিতে সবার প্রথমে বড়মার প্রতিমা বিসর্জন হয়। প্রতিমা বিসর্জনেও রয়েছে অভিনবত্ব। মায়ের ও শিবের চক্ষু ছাড়া অন্য সমস্ত সোনার গয়না খুলে নেওয়া হয়। এরপর, ফুলের গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয়। অবশেষে বিশাল এই প্রতিমাকে ট্রলি করে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা নৈহাটিতে বড়মার পুজো দিতে ছুটে আসেন। এবছরও কয়েক লক্ষ্য ভক্তদের সমাগম হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন মন্দির কমিটির পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন।


বড়ো মার (Naihati boro maa puja time 2023) মন্দিরের পুজোর সময় সূচী :

  • সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা (From 9 am to 9 pm) দুপুর আড়াইটা থেকে চারটে/সাড়ে চারটে পর্যন্ত মন্দিরের গেট বন্ধ থাকে ।

  • মঙ্গল ও শনিবার ( from 8 am to 9 pm)

Naihati boro maa mandir bhog timing:


এই দিন ( Tuesday and Saturday)ভোগ বিতরণ করা হয় দুপুর দেড়টায় (1.30 pm)

  • অঞ্জলি: সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর একটা (9.30 am to 1 pm )   

            সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত সাড়ে আটটা
 ( 6 pm to 8.30 pm) 

  • সন্ধ্যা আরতি : সন্ধ্যা সাতটার পর 

  • মানসিক করা পুজো দিতে বা বিয়ে বা অন্য অনুষ্ঠানের জন্য মন্দিরের অফিসে যোগাযোগ করতে হয়। 

  •  Boro Maa Mandir,Naihati contact number:

        03325815677 , 8240820003


বড়ো মার (নৈহাটি) নতুন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা | নতুন মন্দিরের দ্বার উন্মোচন | একশো বছর পূর্তি অনুষ্ঠান 


সারাবছরই মন্দিরে বড়মার (Boro Maa,Naihati) নিত্য পুজো হয়ে থাকে। অরবিন্দ রোডের উপর যেখানে বড়মার মন্দির ছিল সেখানেই সেজে উঠছে সুউচ্চ চূড়া বিশিষ্ট নতুন মন্দির। নৈহাটির বড়মার মন্দিরে এতদিন কালীমায়ের ফটোকেই পুজো করা হত। কিন্তু এখন থেকে কষ্টিপাথর দিয়ে সাড়ে চার ফুটের মূর্তি গড়ে ,সেই বিগ্রহেই নিত্যপুজো সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের এক শিল্পী কালীমূর্তিটি তৈরি করেছেন । কালীপুজোর সময় মৃৎশিল্পীরা ২১ ফুটের কালীমূর্তি তৈরি করলেও কষ্টিপাথরের মূর্তিটি সেই তুলনায় অনেকটাই ছোট হবে। বেদির উপর এই নতুন বিগ্রহ বসালে উচ্চতা হবে সাড়ে সাত ফুট।  দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারাপীঠ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন শক্তিপীঠ থেকে পুরোহিত এনে সেদিন এখানে হবে পুজো এবং হোম-যজ্ঞ।

নৈহাটি বড়মা পুজো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বড়মার মন্দির তৈরির জন্য রাজ্যের অন্যান্য জেলা, এমনকী ভিনরাজ্য, বিদেশ থেকেও আর্থিক সাহায্য আসছে। খুব শীঘ্রই এখানে  বৃদ্ধাশ্রম ও পুণ্যার্থীদের জন্য ধর্মশালা চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে নৈহাটির অরবিন্দ রোডে পাঁচতলা এই বিল্ডিং তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকছে। তবে সারাবছর এই কষ্টি পাথরের বিগ্রহে মায়ের নিত্যপুজো হলেও কালীপুজোর সময় পুরনো ঐতিহ্য মেনে ২১ ফুটের প্রতিমাই তৈরি করা হবে।

নৈহাটি বড় মা কালী মন্দিরের একশো বছর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। ভক্তদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
নৈহাটি জাগ্রত বড় মায়ের মন্দিরের একশো বছরের পূর্তি উপলক্ষ্যে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে নানা অনুষ্ঠান। ২৬ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত পূজা পাঠ, মহাযজ্ঞ কর্মসূচি এবং নতুন মন্দিরের দ্বার উদঘাটনের অনুষ্ঠান রয়েছে।


১০০ ভরি সোনার গয়নায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল বড়মার। ইতিমধ্যেই রাজস্থান থেকে আনা কষ্টিপাথরের সাড়ে চার ফুটের বড়মার মূর্তি বসানো হয়ে গিয়েছে নতুন মন্দিরে। হয়েছে মূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শুদ্ধিকরণ পাশাপাশি গীতাপাঠ, মহা মৃত্যুঞ্জয় পাঠ ও হোমযজ্ঞ।গোটা প্রক্রিয়াটি বেনারস থেকে আসা তিনজন পুরোহিত-সহ হালিশহরে রামপ্রসাদের ভিটে থেকে তিনজন এবং বড়মার মন্দিরের চারজন পুরোহিত মিলিত ভাবে সম্পন্ন করেছেন বলেও মন্দির কমিটির সূত্রে জানা গিয়েছে।

এদিন মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সঙ্গেই হয় চক্ষুদান। মায়ের মূর্তির সামনে একটি অখণ্ড জ্যোতি বসানো হবে, যা একটানা ১২ বছর জ্বলবে বলেও জানা গিয়েছে। আর তাই মাকে ১০০ ভরির গয়নায় সাজানো হয়েছে, ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টাই এমন বেশে দেখা যাবে মাকে। যদিও এখনও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি বড়মার দর্শন। ২৯ তারিখ তিথি ও সময় ধরে ১২:৫৫ মিনিটে উদ্বোধন করা হবে বড়মার কষ্টি পাথরের এই নতুন মূর্তি, এই মর্মে মন্দির কমিটির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই মন্দিরের নিরাপত্তায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের থেকে সর্বক্ষণের জন্য পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য। দীর্ঘ বছর ধরে যেভাবে বড়মার মূর্তি দেখে আসছেন ভক্তরা, ঠিক যেন তেমন হুবহু রূপ দেওয়া হয়েছে কষ্টিপাথরের এই নতুন মূর্তির।


 ভক্তদের সুবিধার জন্য নতুন মন্দিরে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুরোহিত ও মন্দির কমিটির সদস্যদের জন্য অতিথিশালা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। নতুন অতিথিশালা নির্মাণের জন্য কিছু দোকান ভাঙা পড়েছে। তবে মন্দির কমিটির তরফে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।


No comments

Powered by Blogger.